মীরাক্কেলে পাবনা থেকে বাংলাদেশী প্রতিযোগী জামিল আহমেদ

. . কোন মন্তব্য নেই:

১৫ ই মের মীরাক্কেলে পাবনা থেকে বাংলাদেশী প্রতিযোগী জামিল আহমেদ আসলে কী বলেছিলেন আগে তা একটু জেনে নেই।

১) সেদিন আমার বউ আমাকে বললো, 'আচ্ছা সারাদিন ধরে তুমি কী করো?' আমি বললাম, 'এবার বাংলাদেশকে ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতাতেই হবে'।
কী? জোকটা এর পরেও আছে ভাবছেন?

২) আপনার পছন্দের সুন্দরী রমনীকে কাছে পেয়ে আদর করাটা হচ্ছে ৬ বলে ৩৭ রান দরকারের মত। একটাই ভরসা, তবু তো বাংলাদেশের বোলাররা আছে!

৩) বাংলাদেশের ব্যাটিং আর সুলভ শৌচাগারের মধ্যে মিল কোথায়?
কখন আসছে, কখন যাচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।

৪) আশরাফুলের ছেলে আশরাফুলের বৌকে বললো, 'মা, মা, মা, দেখে যাও। বাবা ছয়ের পরে ছয় মেরেই যাচ্ছে, মেরেই যাচ্ছে, মেরেই যাচ্ছে'। এই শুনে আশরাফুলের বৌ বললো, 'সোনা, অনেক বড় হয়েছো। যাকে তাকে বাবা বোলো না।'

৫) হাই টপ প্রপোজ। প্রেমিক তার প্রেমিকাকে বলছে, 'সোনা, আমি তোমাকে ততদিন ভালোবেসে যাবো যতদিন বাংলাদেশ না বিশ্বকাপ জেতে'।

৬) সাকিব আল হাসান সেদিন গেলো আশরাফুলের বাড়িতে। গিয়ে দেখে আশরাফুল ঘুমাচ্ছে। বলে, 'এই ওঠ। আজকে আমাদের টেস্ট খেলা আছে'। আশরাফুল চোখ খুলে বললো, 'অ্যা, কাদের সাথে?' সাকিব বললো, 'অস্ট্রেলিয়ার সাথে।'
'তোরা যা, আমি বিকালে আসছি।'

এরপর মীর এসে জিজ্ঞাসা করলো, 'হঠাৎ আজকে এত রাগ টিম বাংলাদেশের উপর?' জামিল আহমেদ উত্তর দিলেন, 'রাগ না, এটা তো মজা'। মীর বললো, 'হুম মজা?' জামিল পুনরায় উত্তর দিলেন, 'বৌকে যেমন ভালোবাসি, বাংলাদেশ টিমকেও ভালোবাসি। বৌকে নিয়ে জোক করতে পারলে এদেরকে নিয়ে পারবো না কেন?'

নিয়মিত না হলেও সুযোগমত মাঝেমাঝে আমি মীরাক্কেল দেখি। দেখা থেকে কয়েকটা ক্রিকেট বিষয়ক কৌতুকের স্মৃতিচারণা করি।

১। খরগোস আর কচ্ছপের দৌড়ের কথা মনে আছে? ধরেন, পিচের মাঝখানে একটা কচ্ছপ আছে আর ব্যাট হাতে রাহুল দ্রাবিড় আছে। বলেন তো কে আগে বাউন্ডারিতে পৌছাবে, কচ্ছপ না দ্রাবিড়ের হিট করা বল?

২। এক্সপেরিয়েন্সের একটা ভ্যালু আছে। যেমন ধরেন, শচীন আর কুম্বলের ওয়াইফ।

৩। বাবা-মায়ের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। একটাই ছেলে। এখন জজ ছেলেকে জিজ্ঞাসা করছে, 'তুমি কার সাথে থাকবে? বাবা?' ছেলে উত্তর দিচ্ছে, 'না, পাপা বিটস মি'। জজ আবার জিজ্ঞাসা করছে, 'তাহলে মা?' ছেলে আবার উত্তর দিচ্ছে, নো, 'মাম অসসো বিটস মি'। 'তাহলে কে?' 'দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। দে নেভার বিটস এনিওয়ান।'

৩ নাম্বার কৌতুকটা মীর গতকালই বলেছে জামিল আহমেদের কৌতুক বলা শেষেই। সব কৌতুক মনে না থাকায় অনেক কৌতুক লিখতে পারলাম না। তবে নিশ্চিত শুনেছি, শচীন টেন্ডুলকার, যাকে ভারতীয়রা ঈশ্বরের মত মনে করে, তার উচ্চতা নিয়েও মীরাক্কেলে বেশ কিছু কৌতুক বলা হয়েছে। সৌরভ গাঙ্গুলী, যাকে দাদা-দাদা করতে ফ্যানা উঠিয়ে ফেলে পশ্চিমবঙ্গের জনগন, ওরাই তার দাদাগিরি করা নিয়ে, পড়তি ফর্ম নিয়ে অনেক কৌতুক করেছে। তাতে কারও অনুভূতি আহত হয়েছে বলে শুনিনি এতদিন।

সৌভাগ্যক্রমে মীরাক্কেলের এই পর্বটা গতকালই দেখেছি। আজ কয়েকটা পোষ্টে আমাকে ট্যাগ করা হয়েছে এই বিষয়ক। একারণেই লেখা। আমি ব্যক্তিগত ভাবে একাটা কৌতুক শোতে কে কী বলেছে এটাতে আঘাতপ্রাপ্ত হইনি মোটেও। আমার অনুভূতি হয়তো খুব জোরালো না। ফেসবুক স্ট্যাটাসে, গ্রুপে, ব্লগে আমি নিয়মিতই দেখি কোনো ব্যাটসম্যান একটু খারাপ করলেই তাকে নিয়ে শুধু কৌতুক না, গালিও দেওয়া হয়। তাতেও আমার আঘাত লাগে না। এটা যার যার মত। বাংলাদেশীরা নিজেদের প্লেয়ারদের সমালোচনা করতেই পারে ভেবে নেই। তবে জামিল আহমেদ পাবনার কেউ না হয়ে পশ্চিমবঙ্গের কেউ হলে কী হতো, কতটুকু আঘাত লাগতো সেটা বিবেচনায় আনিনি। সে হিশেবটা নিশ্চয়ই ভিন্ন হতো। ক্রিকেট আমাদের আবেগের জায়গা। সেটা সেখানে নিরাপদেই থাকবে। দু'-একটা জামিলের কথায় তার কিচ্ছু হবে না। আমার ক্রিকেটানুভূতি নিশ্চয়ই এতটা ঠুনকো না।

কোন মন্তব্য নেই:

ফেসবুকে আমরা

জনপ্রিয় পোষ্ট সমূহ

পূরানো পোষ্টসমূহ

Blogger দ্বারা পরিচালিত.